Bitcoin : সোনা নাকি বিটকয়েন, সম্পদ হিসেবে কে এগিয়ে এবং কেন ?
জনপ্রিয়তার চূড়ায় থাকা Cryptocurrency এখন শুধুমাত্র আর ভার্চুয়াল ইনভেসমেন্ট নয়, মুদ্রাস্ফীতি এড়ানোর ও একটা গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি রোধের অন্য এক সম্পদ হল সোনা। ক্রিপ্টোর মত সোনার দাম ও সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। অন্য দিকে সোনা আর ক্রিপ্টো দুটোই সীমিত (দ্বিতীয়টি এখনও ঘোষণা হয়নি)। অতঃপর উভয়েরই মূল্য বাজারের চাহিদা আর জোগান এর উপরেই নির্ভরশীল।
বর্তমানে ক্রিপ্টো মুদ্রার উপর সরকারী নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিভিন্ন বিতর্কের মধ্যেই এর লোভোনীয় রিটার্নস আধুনিক বিনিয়োগকারীদের আরও করে তুলেছে। তবে কী ডিজিটাল মুদ্রায় বিনিয়োগ সোনাকেও ছাপিয়ে যাবে? উচ্চ মহলে এই নিয়ে হচ্ছে নানারকম আলোচনা।
সোনার চেয়ে ক্রিপ্টো কোন কোন বিষয়ে এগিয়ে তা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে Nonceblox bloclchain র প্রতিষ্ঠাতা ও অধিকর্তা Vishnu Gupta জানিয়েছেন সোনা অনেকদিন থেকেই মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তবে একটা অসুবিধা হল সোনা যেমন চুরি যাওয়ার ভয় থাকে তেমন এটা রক্ষণাবেক্ষণ ও সঞ্চয়ের জন্য ও যত্নবান হওয়া প্রয়োজন।
এটা বিনিয়োগকারী দের কাছে একটা বিশ্বস্ত মাধ্যম। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে বড় অঙ্কের লাভ প্রদান, রক্ষণাবেক্ষণ এর ঝামেলা না থাকা ও পুরোপুরি বিকেন্দ্রীভূত বৈশিষ্ট্যের কারণে বিনিয়োগকারীরা এখন সোনার বদলে ক্রিপ্টো তেই বিনিয়োগ করার কথা ভাবছেন। তিনি আরও বলেন, ক্রিপ্টোকারেন্সির বার্ষিক রিটার্ন ৪০৮%, এটিকে যদি ৫-৬% মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে তুলনা করা হয়, তাহলে দেখা যাবে এটি কেবল মুদ্রাস্ফীতিই আটকায় না, ভবিষ্যত প্রজ্ন্মের জন্য সঞ্চয় ও করে।
এই একই বিষয়ে Sag Infotech এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর Amit Gupta বলেন বর্তমানে অনেক বিনিয়োগকারী সোনার বদলে ক্রিপ্টো ইনভেস্টে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে কড়া সুরক্ষা প্রদানই এটির প্রধান কারণ বলে তিনি মনে করেন।
Proaasetz Exchange র অধিকর্তা মনোজ ডালমিয়া, সোনা আর ক্রিপ্টোর তুলনা করতে গিয়ে কিছু যুক্তি দেন যেগুলো পরিস্কার করে যে আজকের যুগে সোনার তুলনায় ক্রিপ্টোতে ইনভেস্টই অনেক বেশী লাভজনক আর ঝামেলাহীন।
স্বল্প উপলব্ধতা ঃ
বিটকয়েনের উপলব্ধতা সোনার তুলনায় কম। কোনও সরকার একে নিয়ন্ত্রণ বা নকল করতে পারে না। ২১ মিলিয়ন বিটকয়েন রয়েছে বাজার এ। কেউ এর থেকে বেশী তৈরি করতে পারবে না। অন্যদিকে সোনা উপলব্ধতা নির্ভর করে সোনার খনির উপর যা পরিবর্তনশীল।
স্থায়িত্ব ঃ
বিটকয়েন আর সোনা প্রায় সম মাত্রায় স্থায়িত্ব। যতো দিন ইন্টারনেট এর দুনিয়া থাকবে ততদিন ক্রিপ্টো থাকবে, অন্য দিকে সোনার খনির উপর নির্ভর করবে সোনার উপলব্ধতা।
বিভাজ্যতা ঃ
বিটকয়েন কে আরও ছোটো এককে ভাঙা যায়। যেটা সোনার ক্ষেত্রে সম্ভব নয়।
নকলের বিরুদ্ধে সুরক্ষা ঃ
বিটকয়েন সহজে শনাক্ত করা যায় আর এর নকল তৈরি করা প্রায় অসম্ভব। অন্য দিকে নকল সোনা ও শনাক্ত করা যায়। এটা জাল করলেও শুদ্ধতা পরীক্ষায় ধরা পড়ে যায়।
তবে, বিভিন্ন সুযোগসুবিধা থাকা সত্ত্বেও বিটকয়েনে বিনিয়োগের ঝুঁকির কথা মনে করিয়ে দিয়ে MyFundBazzar এর প্রতিষ্ঠাতা ও কর্ণধার Vinit Khandare বলেন , বিটকয়েন কোনো নিয়ন্ত্রিত সম্পদ নয়, কোনো সার্বভৌম গণতন্ত্রের মদতপুষ্টও নয়। মূল বিষয় হল , এর সাথে মুদ্রাস্ফীতির দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের কোনো অতীত প্রমাণ নেই।
কাজেই, লোভে পরে অসুরক্ষিত ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ নাকি আমাদের চিরাচরিত ভরসার জায়গা সোনায় বিনিয়োগ, কোনটাকে বেছে নেবেন লগ্নিকারীরা তা ভবিষ্যতের সমীক্ষাই বলে দেবে।
Social Media তে আসুন, আগে আপডেট পাবার জন্য ।
Facebook Page | : | |
Instagram Page | : | |
Youtube Link | : | |
Twitter | : | |
Telegram | : |
কোন মন্তব্য নেই