হ্যাকারের হাত থেকে আপনার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন কে সুরক্ষিত রাখার আধুনিক উপায়

    ইন্টারনেট ছাড়া এই যুগে আর এক মুহূর্ত ও চলা সম্ভব নয় আর ইন্টারনেটের গোপনীয়তা বজায় রাখা ও বেজায় জরুরী । এমতবস্হায় গত পরশু সারা বিশ্বজুড়ে পালিত হয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড ডেটা প্রাইভেসি ডে’ (World Data Privacy Day)। আর এই উপলক্ষে সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম WhatsApp (হোয়াটসঅ্যাপ), অনলাইন সুরক্ষা পয়েন্টগুলি তুলে ধরেছে, যাতে ইউজাররা এটি সুরক্ষিতভাবে ব্যবহার করতে পারেন এবং অন্য কেউ তাদের ডেটার অপব্যবহার করতে না পারে। যদি ও WhatsApp এন্ড টু এন্ড এনক্রিপ্টেড মেসেজিং পরিষেবা অফার করে। কিন্তু আরও অনেক উপায় আছে যার মাধ্যমে এর অনলাইন ডেটা সুরক্ষিত রাখা যায়। আজ সেই বিষয়ে ই আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব ।

১. টু স্টেপ অথেন্টিকেশন: এই টু স্টেপ অথেন্টিকেশন (Two Step Authentication) প্রক্রিয়াটি অন করা থাকলে, হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট  সুরক্ষিত থাকে। এটি WhatsApp এ আপনার অ্যাকাউন্টে অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রদান করে যেটিতে ফোনের সিম কার্ড চুরি, অ্যাকাউন্ট রিসেট এবং ভেরিফিকেশনের জন্য ৬ সংখ্যার পিন প্রয়োজন।

২. হোয়াটসঅ্যাপ টাচ আইডি, ফেস আইডি বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক: হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা চাইলে তাদের ফোনে অ্যাপ্লিকেশনটি আইফোনের ক্ষেত্রে টাচ আইডি এবং ফেস আইডির আর অ্যান্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে ফিঙ্গারপ্রিন্ট লকের মাধ্যমে সুরক্ষিত রাখতে পারেন।


৩. ডিসঅ্যাপেয়ারিং মেসেজ: এটি কিন্তু WhatsApp এর একটি অনবদ্য ফিচার যেটি অন থাকলে নির্দিষ্ট সময় পর  চ্যাট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিলিট হয়ে যায়। সেন্ডার বা রিসিভার উভয়েই এই ফিচারটি ২৪ ঘন্টা, ৭ দিন বা ৯০ দিনে- তার প্রয়োজন মত নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।

৪. ভিউ ওয়ান্স: চ্যাটের পর ভিউ ওয়ান্স (View Once) এই ফিচারটি থাকলে কোনো ফটো এবং ভিডিও, রিসিভার একবার দেখার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা ডিলিট করার বিকল্প দেয়। এর ফলে ব্যবহারকারী  গোপনীয়তা বজায় থাকে ।

৫. এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড ব্যাকআপ: হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা তাদের চ্যাট ব্যাকআপগুলি সুরক্ষিত করতে আইক্লাউড বা গুগল ড্রাইভে  একটি এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন সিকিউরিটি লেভেল যুক্ত করতে পারেন। এক্ষেত্রে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড ব্যাকআপ ক্লাউডে, মেসেজ এবং মিডিয়া সেভ হয় । সর্বোপরি এটি একটি এনক্রিপশন কী (Key) দিয়ে সুরক্ষিত থাকে।

৬. গ্রুপ প্রাইভেসি সেটিংস: হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি সেটিং এবং গ্রুপ ইনভাইট সিস্টেম, কোনো WhatsApp গ্রুপে মেম্বারদের জয়েন হওয়া বা জয়েন করানোর বিষয়গুলি নিয়ন্ত্রণাধীন। এর ফলে একদিকে যেমন যে কেউ কোনো ব্যক্তিগত গ্রুপে জয়েন করতে পারেনা, তেমনি কেউ না চাইলে তাকে সেই গ্রুপে জয়েন করানো যায়না।

৭. অ্যাডমিন কন্ট্রোল: এটি একটি গ্রুপ সেটিং, যা শুধু গ্রুপ অ্যাডমিনদের নিয়ন্ত্রণ থাকে। এতে তারা সেটিং পরিবর্তন করতে পারে যা গ্রুপে অবান্ছিত মেসেজ পাঠানো থেকে গ্রুপ মেম্বারদের নিরস্ত্র করতে পারে।

    এই ধরনের টাটকা খবর গুলো সবার আগে পেতে আমাদের Social Media handel গুলোতে যুক্ত হন, নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে | 

Social Media তে আসুন, আগে আপডেট পাবার জন্য । 

কোন মন্তব্য নেই

Feature Post

সামনে এলো Galaxy A23 5G এবং Galaxy A13 5G এর স্পেসিফিকেশন। সম্পূর্ণ তথ্য আপনাদের জন্য।

      অবশেষে Samsung Galaxy A23 5G এবং Galaxy A13 5G স্মার্টফোনের দাম এবং কবে থেকে পাওয়া যাবে সেটা নিশ্চিত করেছে । দুটি স্মার্টফোনই তাইওয়ান...

Popular Post

fpm থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.
close